আঃজলিল(যশোর-জেলা)প্রতিনিধিঃ
যশোর ঝিনাইদহ হয়ে খুলনা কুষ্টিয়া রুটে কয়েকবছর ধরে চলাচল করা গড়াই পরিবহন এখন এই সকল রুটে চলাচলকারী অন্য বাস, মিনিবাস ভ্যান,রিকশা, অটোরিকশা ড্রাইভার ও পথচারীদের ভিতর আতঙ্কের আরেক নাম।
খুলনা কুষ্টিয়া রুটে চলাচলকারী এই গড়াই পরিবহনের গতী থাকে বেপরোয়া। অনান্য পরিবহন গুলোয় যেন এদের কাছে কিছুই না। যাত্রী বোঝাই গড়াই পরিবহন এই ব্যাস্ত সড়কে বেপরোয়া গতিতে একের পর এক ঝুকিপূর্ণ ওভারটেকিং এবং টার্নিং করে।
রাস্তা ফাকা পাইলে তো আর কথাই নাই। তবুও য্যাম লেগে থাকা রাস্তায় য্যাম তাদেরকেও আটকে রাখতে পারে না। কখনো কখনো ফুটপাত দিয়ে ওভারটেকিং করে এই গড়াই পরিবহন।
যাত্রীরা বলেন-এই গড়াই পরিবহন সময় কম লাগালেও যে বেপরোয়া গতিতে চলে তাতে আমাদের গাড়ির মধ্যে বসে জান হাতে করে আল্লাহকে ডাকতে হয়। শুধু তাই নয় গাড়ি আসতে দেখলে এমনকি ফুটপাতেও মানুষ দাড়াতে সাহস পায় না।
গাড়ির স্টাফরা জানায়- তাদের গাড়ির টাইম নির্ধারন করা। তাই উক্ত নির্ধারিত সময়ের মধ্যে পরবর্তী কাউন্টার না ধরলে আর্থিক জরিমানা গুনতে হয় তাদের। আবার ওই সময়ের মধ্যে পেছনের সিরিয়ালে আসা গাড়ি সামনের গাড়িকে ওভারটেক করলেও জরিমানা দেওয়া লাগে তাদের। এই জরিমানা এড়াতে ঝুকি নিয়ে ঝড়োগতি তোলেন ড্রাইভাররা।
এর আগেও চলতি বছরে বেশ কয়েকবার হাইওয়ে পুলিশ ডিজিটাল পরিক্ষন যন্ত্রে গড়াই গাড়ির গতি পরিক্ষা করে বেশকয়েকবার জরিমানাও করেছে। এছাড়া অহোরহো গড়াই পরিবহন নিয়ে দূর্ঘটনা তো ঘটতেই আছে।
সড়কে চলাচলকারীরা বলেন, গড়াই পরিবহনের এই বিষয়টি পরিবহন মালিক সমিতি এবং প্রশাসনের কড়া নজরদারিতে এনে যাত্রীদের নিরাপদ যাত্রা নিশ্চিত করা হোক।
Leave a Reply