ব্রাম্মণবাড়ীয়া নাসিরনগরে গরিব বলে অবহেলা ও যৌতুকের জন্য নারী নির্যাতন ।
-
Update Time :
রবিবার, ২৯ নভেম্বর, ২০২০
-
১১৪
Time View
ব্রাম্মণবাড়ীয়া নাসিরনগরে গরিব বলে অবহেলা ও যৌতুকের জন্য নারী নির্যাতন ।
যৌতুকের জন্য বাংলাদেশে নারী নির্যাতন কোনো নতুন ঘটনা নয়৷ তবে নতুন কথা হলো, সাম্প্রতিক এক তথ্যে মহিলা পরিষদ জানিয়েছে যে, যৌতুকের কারণে নারী নির্যাতনের ঘটনা বাংলাদেশে বাড়ছেই৷
স্টাফ রিপোর্টার
মোঃ মোশারফ হোসেন-নাসিরনগর উপজেলা প্রতিনিধি।
যৌতুকের জন্য নির্যাতন জন্ম দিয়েছেন অভূতপূর্ব এক ঘটনা৷ তার সাহসিকতায়, প্রতিবাদে আলোড়ন তৈরি হয়েছে বাংলাদেশের শহরে শহরে, মফস্বলে এমনকি দূর গ্রামেও৷ যৌতুক দাবিতে অনেক অসহায় গরীব দরিদ্র পরিবারের কণ্যার সংসার বেঙ্গে যাচ্ছে ।
ব্রামণবাড়িয়া.নাসিরনগর উপজেলা. ১৩নং ইউনিয়ন ধরমন্ডল গ্রামে নারী নির্যাতন ও প্রানহানি অভিযোগ পাওয়া গেছে ।
জানা গেছে, 17/02/2014 সালে দৌলতপুর গ্রামের আব্দুল হাসিমের ছেলে মোঃ পাবেলের সঙ্গে পার্শ্ববর্তি ধরমন্ডল গ্রামের মৃত বলু মিয়ার মেয়ে মোছাম্মত আওলিয়া আক্তারের বিয়ে হয়। বিয়ের সময় কাবিন হয় ১,৯৯,৯৯৯ টাকা মোহরান ধার্য্যে বিবাহ হয়। ১,৮০,০০০ টাকা সাংসারিক ঘরের আসবাবপত্রের জন্য দিয়েছেন,
তার পরেও তার নির্যাতন কমেনি, তার স্বামী আরো যৌতুক দাবী করেন।
বাদীনি তাহার সুখের জন্য তিন সন্তানের কথা চিন্তা করিয়া নগদ ৯৫,০০০/ টাকা দেন।
মোছাম্মৎ আওলিয়া আক্তারের অভিযোগ, তার শশুর শাশুড়ি পরামর্শে তার কাছে আবার যৌতুক দাবি করে তার স্বামী। যৌতুকের দাবিতে তাকে শারীরিক নির্যাতনও করতো। তিন সন্তানের মুখের দিকে তাকিয়ে নির্যাতন সহ্য করে তার সংসার কথা ভেবে।
ঘটনার তারিখ ও সময়ঃ-১৫/১০/২০২০ইং ঐক্যে ৩০ শে আশ্বিন রোজ বৃহস্পতিবার দুপুর অনুমান ৩ ঘটিকায়, রান্না শেষ করে ঘরে গেলে বিশেষ টাকার প্রয়োজন বলে, আওলিয়া আক্তার টাকা দিতে অস্বিকা করলে তার স্বামী তলপেটে লাথি মারে, এবং সঙ্গে সঙ্গে তিনি পড়ে যান। তিনি কান্নাকাটি শুরু করলে পাশের ঘর থেকে শাশুড়ি এসে তাকে চড়, কিল, লাথি মারে। এক পর্যায়ে তার স্বামী গলায় গামছা পেঁচিয়ে স্বামী ও শশুর শাশুরি শ্বাসরোধ করে হত্যার চেষ্টা করে,
কোনো মানুষ তাদের গিয়ে বাধা দেওয়ার মতো সক্ষমতা নেই বলে কেউ বাধাও দিতে আসেনি,
যৌতুক লোভীর স্বামীর বিচার ও শাস্তি দাবি করে জানান ১৩ নং ধরমন্ডল ইউনিয়নের চেয়ারম্যান মোঃ বাহার চৌধুরী বলেন- বিষয়টা যে কোনো ভাবে একটা সমাধান করতে হবে, স্ত্রীকে নির্যাতনের অভিযোগ পাওয়া গেছে বার বার সালিস হওয়ার পরেও আমি বিষয়টি তদন্ত করে আইনের সহযোগিতা মাধ্যমে যথাযথ ব্যবস্থা নেব।
এতো নির্যাতন করার পরেও মোছাম্মৎ আওলিয়ার স্বামী বলে আমি তোর নামে মিত্যে মামলা করবো।
মোছাম্মৎ আওলিয়া আক্তার অনেক চিন্তাভাবনা করে দেখলো এবার একটা কিছু করার দরকার, সে সব চিন্তা বাদ দিয়ে কোর্টে মামলা দায়ের করেন,,
এ ব্যাপারে আদালতে হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন ভুক্তভোগী ও তার পরিবার।।
Please Share This Post in Your Social Media
More News Of This Category
Leave a Reply